বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

কৃষকের মুখে হাসি ঘড়ে তুলছে সোনালি ফসল

কৃষকের মুখে হাসি ঘড়ে তুলছে সোনালি ফসল

এক বুক আশা নিয়ে সোনালি ধান রোপন করেন বাংলার মেহনতি কৃষকরা। ঘাম ঝড়ানো শ্রমের বিনিময়ে উৎপাদিত এসব ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে ঋণ শোধ করে আপনজন নিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দে থাকবেন এমনটাই কৃষকের প্রত্যাশা । শরীয়তপুর নড়িয়ার কৃষকরাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ বছর নড়িয়ার কৃষকদের এই স্বচ্ছলতার স্বপ্নের বিপরীতে বড় হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ধানের বাজার মূল্য।

চলতি বছরে শরীয়তপুর নড়িয়ার সর্বত্র ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো বাজার মুল্য কমে গেলে লোকসান হবে। গত বছর প্রথম দিগে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের লোকসান দিয়ে ধান বিক্রি করতে হয়েছে।

বর্তমান ধানের বাজার মূল্য ভালো যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে অন্যন্য বছরের তুলনায় এবছর কৃষকরা লাভবান হবে।

চলতি বছরে নড়িয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বোরো ধানের ফলনও হয়েছে বাম্পার। ইতিমধ্যে উচু এলাকার ৩০ ভাগ ও নিচু এলাকার ১০ ভাগ ফসলী জমির ধান কর্তন হয়েছে। তবে ধান উৎপাদনে কলচার্জ, শ্রমিক মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।

নড়িয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, নড়িয়া উপজেলায় এ বছর ইরি বুরো আবাদের লক্ষ মাত্রা ৫ হাজার ৯৪০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যে খাদ্য বিভাগ ধান সংগ্রহ শুরু করলে বাজারে ধানের মূল্য আরো বাড়বে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন।

কৃষক সিরাজ সরদার বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমাদের জমিতে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ধানের দাম টা মোটামুটি ভালো আছে। আরএক কৃষক আক্তার হোসেন বলেন এবছর আমরা লাভবান হবো ধানের দাম ভালো জমিতে ফলনও ভালো এখন বৃষ্টি না হলে ধানের দামটা আরো বাড়বে।

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার এমনটাই দাবি এ অঞ্চলের কৃষকদের।

 

 


error: নিউজ কপি করা নিষেধ !!