শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শরীয়তপুরে সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুরে সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের পশু ডাক্তার মো. হোচেন হাওলাদার ও তার সহযোগী হুমায়ুন ফরাজি, বিরুদ্ধে ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের অধীনে সরকারি ঘর ও গভির নল কুপ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে লাক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

দীর্ঘদিন পার হলেও ঘর ও টাকা ফেরত না দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মগর গ্রামের মো. জব্বার মৃধা, ছালাম বেপারী, চান শরিফ ছৈয়াল, জয়নাল ছৈয়াল, মমতাজ বেগম, ফরিদা বেগম, শামসুন্নাহার, শাহজাহান ছৈয়াল, শামসুল হক বেপারী, সহ আরও অনেকের কাছ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে হোচেন হাওলাদার সরকারি ঘর ও কল দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নেন। এক সপ্তার মধ্যে ঘর দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ ছয় মাস পার হলেও কোনো ঘর দিতে পারেনি হোচেন। আর টাকা ফেরত চাইলে ঘর পাবে বলে নানা অজুহাত দিতে থাকে।

সরজমিনে গিয়ে যানা, জায় হুমায়ুন ফরাজি বাড়ি মগর গ্রামে। তিনি অনেক প্রভাব সালি ব্যাক্তি হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার প্রধান মন্ত্রীর বাসভোবনে যেতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয়না বলে তিনি জানান। তিনি এর আগেও অনেকের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। লোকমান ঢালি নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভোটার আইডি কাড ট্রান্সফারের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান আমার স্বামী নেই সন্তান নেই ভাইদের আশ্রয়ে থাকি আমি অত্যন্ত দরিদ্র আমাকে তিন দিনের মধ্যে ঘর দেওয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা দাবি করে আমি অনেক কষ্ট করে ধারদেনা করে তাদের কাছে টাকা দেই কিন্তু ৬ মাস হয়ে গেল ঘরের কোন খবর নেই। সালাম বেপারী, চান শরীফ ছৈয়াল, মমতাজ বেগম, শামসুল হক ছৈয়াল,সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন হোসেন হাওলাদার ও হুমায়ুন ফরাজী ঘর ও কল দেয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয়। ৬ মাস হয়ে গেল ঘরের কোন খবর নেই। আমরা দরিদ্র লোক কিস্তিতে টাকা তুলে তাদের কে দিয়েছি আমাদের অনেক কষ্ট করে সুদের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। হুমায়ুন ফরাজি ও হোচেন হাওলাদার কে বার বার ফোন করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এব্যাপারে নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে
তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে

 

 


error: নিউজ কপি করা নিষেধ !!