শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শরীয়তপুরে ভোজেশ্বর বাজার পশুর হাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

শরীয়তপুরে ভোজেশ্বর বাজার পশুর হাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

বছর ঘুরে আবারও আসছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি করবেন মানুষ। আর এ জন্য শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা ভোজেশ্বর বাজারে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট। এই হাটে করোনাভীতি ভুলেই পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবাই।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের দিয়েছিল সরকার। কিন্তু পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরুর খামারি ও ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে ১৫ জুলাই থেকে ২২ শে জুলাই পর্যন্ত সরকার কঠোর লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। মার্কেট দোকানপাট খোলা থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু কিছু পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ভোজেশ্বর বাজার পশুর হাটে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই । মাস্কও পরছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) উপজেলার এই হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে কানায় কানায় লোকজনে ভর্তি। শুধু নড়িয়া উপজেলা থেকে নয়, বিভিন্ন উপজেলা থেকেও গরুর মালিকরা গরু নিয়ে এসেছেন। কেউ কেউ এসেছেন খুলনা যশোর থেকেও। ভোজেশ্বর হাটের পুরো জায়গা জুড়ে শুধু গরু আর গরু। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও ক্রেতারা ভীড় করছেন গরু কিনতে। জেলার নানাপ্রান্ত থেকে এসেছেন বেপারীরাও। দাম দরে মিলে গেলে গরু কিনছেন তারা।

হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন মাস্ক না পরে। মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই রেখেছেন থুতনিতে ঝুলিয়ে। কিন্তু কারও সেই দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। যে যার মত গরু কেনাবেচায় ব্যস্ত।

সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও সমবার সাধারণ হাট বসে। হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ঈদের তুলনায় এই ঈদে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। মাঝারি আকারের গরু কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে বড় আকারে গরু কিনতে হলে ১ লাখ ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হচ্ছে এবার। তারও বড় গরুর দাম তিন থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত। কামাল নামের এক খামারি বলেন, আমি গরু নিয়ে এসেছি দুইটা। গরুপ্রতি ৭০ হাজার টাকা চেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা বলেছে। তাই বিক্রি করছি না।

সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব না। যা হবার হবে। আমি দুইটা গরু এনেছি ওটা বিক্রি হলেই আমি খুশি।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশন( ভূমি )মোরশেদুল ইসলাম বলেন আমরা যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ক্রাতাও বিক্রেতাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

ভোজেশ্বর বাজারের ইজারাদার না থাকায় পশুরহাটে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভোজেশ্বর বাজার তহসিল অফিস এর তঃসিলদার মোহাম্মদ খবিরউদ্দিন তারকাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খবিরউদ্দিন বলেন, আমরা বারবার মাইকিং করছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছি। মাস্ক ও স্যানিটাইজার আছে। যে কেউ চাইলে নিতে পারবে।

ভোজেশ্বর পশুর দায়িত্ব পালন করছিলেন ভোজেশ্বর ফাড়ির পুলিশ এএসআই কুদরত। তিনি বলেন, যা দেখছেন তাই, এই হাটের অবস্থা। আমরা অনেকজন এখানে কাজ করছি। যতটা সম্ভব সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছি।


error: নিউজ কপি করা নিষেধ !!