
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিমা আক্তার(১৫) নামে এক কিশোরী কে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মোঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড বাজন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই কিশোরী কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাজন পাড়া গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার, এর সাথে মৃত হযরত আলী হাওলাদারের ছেলে আনসার হালদার, ও হাশেম হাওলাদারের ছেলে বিল্লাল হাওলাদার, এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেলিম হাওলাদার জানান ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে আমি গরু-বাছুর নিয়ে আনসার হাওলাদারের বাড়ির পাশের সরকারি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকেও আমার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আরম্ভ করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আনসার হাওলাদার ও বিল্লাল হাওলাদার সহ অপরিচিত আরো ৫-৭ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বাড়ি থেকে ছেন দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, নিয়ে এসে আমার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে ঘুসি লাথি ও লোহার রড দিয়ে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথাযুক্ত জখম করে। আমার ছেলে মিলন (১৪) আমাকে ছাড়াইতে গেলে ওকে এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় আমার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪০) ও আমার মেয়ে লিমা আক্তার (১৫) আমাদের কে ছাড়াইতে গেলে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফালাইয়া লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আমাদের জীবন শেষ করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আমাদের আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।