
শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই কেন্দ্রের নিকটবর্তী মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড উপরগাঁও হাছেন দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে উপরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় মেম্বার প্রার্থী মো. মোশারফ দেওয়ান (ফুটবল প্রতীক), তার স্ত্রী শারমিন বেগম (৩০), পারু বেগম (৩৫), মোকলেজ ব্যাপারী (৫০), ইদ্রিস ব্যাপারী (৪০), খাদিজা বেগম (৬০), আকাশী (২৯), রাজিব ব্যাপারী (১৯), মুজাম দেওয়ান (৪০), কুনছু বেগম (৪০), মোস্তফা দেওয়ান (৩৮) ও নুর জাহান বেগম (৭০), জিতু দেওয়ান (২৮), আমির হোসেন দেওয়ান (৪০), হাফেজ দেওয়ান (২২), মোতাহার দেওয়ান (৭৫), মানিক দেওয়ান (৪৫), হানিফ ব্যাপারী (৩২), ইমাম দেওয়ানের (২৫) আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তাদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর দেওয়ান ও জামাল হোসাইন ফকিরের কর্মীসমর্থকরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, জাহাঙ্গীরের দাবি-জাহিদুল ইসলাম ও মো.মোশারফ দেওয়ানের সমর্থকরা নিজেরা ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জাহাঙ্গীর লোকজন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী মোশারফ ও তার সমর্থকদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায়। মোটরসাইকেল, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর, রান্না করা খাবার নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনা টের পেয়ে মোশারফের লোকজন বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঘটনার পর এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রার্থী মোশারফ দেওয়ান বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী জাহাঙ্গীর দেওয়ান ও তার কর্মীসমর্থকরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আমার ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, রান্না করা খাবার নদীতে ফেলে দেয়। এসময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে ১০/১২ জন আহত হয়। তাদের সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না। তারা ভোটারদের সড়কে দাঁড়িয়ে বাধা ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
নৌকার সমর্থক জাহাঙ্গীর দেওয়ান বলেন, সকালে প্রতিদ্বন্দ্বী মোশারফের লোকজন এসব করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ আছে। ঘটনার নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।